‘সুলায়মান পক্ষীকুলের খোঁজ-খবর নিল। অতঃপর বলল, কি হ’ল হুদহুদকে দেখছি না যে? না-কি সে অনুপস্থিত’ (নমল ২০)।
সে বলল, ‘আমি অবশ্যই তাকে কঠোর শাস্তি দেব কিংবা যবহ করব অথবা সে উপস্থিত করবে উপযুক্ত কারণ’ (২১)।
‘কিছুক্ষণ পরেই হুদহুদ এসে হাযির হয়ে বলল, (হে বাদশাহ!) আপনি যে বিষয়ে অবগত নন, আমি তা অবগত হয়েছি। আমি আপনার নিকটে ‘সাবা’ থেকে নিশ্চিত সংবাদ নিয়ে আগমন করেছি’ (নমল ২৭/২০-২২)।
.
এ পর্যন্ত বলেই হুদহুদ তার নতুন আনীত সংবাদের পেশ করল ( সেবার রাণী বিলকিস ও তার রাজ্য সম্পরকে)
উপরোক্ত আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট যে, হুদহুদের মাধ্যমে একথা বলানোর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে একথা জানিয়ে দিলেন যে, নবীগণও গায়েবের খবর রাখেন না। তাঁরা কেবল অতটুকুই জানেন, যতটুকু আল্লাহ তাদেরকে অবহিত করেন।
.
তাহলে একবার ভেবে দেখুন যেখানে একজন নবীই গায়েব জানার ক্ষমতা রাখেন না ( যতটুকু আল্লাহ তাকে জানান তা ব্যাতীত) সেখানে একজন গণক, রাশি বিশ্লেষক, কবিরাজ কিংবা পীর কিভাবে আপনাকে ভবিষ্যতের কথা বলতে পারবে? কিভাবে সে আপনার ভবিষ্যত পরিবর্তিত করতে সাহায্য করবে??
গায়েবের খবর একমাত্র আল্লাহই জানেন,
আল্লাহ ছাড়া আর কেও গায়েবের খবর জানে এটা বিশ্বাস করাটাও শিরক এবং এতে আপনার ঈমান থাকবেনা, কারও কাছে ভবিষ্যত জানতে চাওয়া মানে তার সাথে আল্লাহর ক্ষমতার তুলনা করা..নাউজুবিল্লাহ।
:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন এবং তার রাস্তায় কবুল করুন।
:
আমীন
আল্লাহ ছাড়া আর কেও গায়েবের খবর জানে এটা বিশ্বাস করাটাও শিরক এবং এতে আপনার ঈমান থাকবেনা।